ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের উপকূলে সৈকত-২ ড্রেজার ডুবির ঘটনায় আরও দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ড্রেজারটি থেকে মোট ছয়টি মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ও বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ড্রেজারের ভেতর মাটিচাপা পড়া অবস্থায় লাশ দুটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্ট গার্ডের ডুবুরি দল।
নিহতরা হলেন- পটুয়াখালী জেলার নুরু সরদারের ছেলে আলম সরদার (৬০) ও একই জেলার আনিস মোল্লার বড় ছেলে শাহিন মোল্লা (৪৫)।
মীরসরাই থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, ‘বুধবার রাতে আলম সরদার এবং বৃহস্পতিবার সকালে শাহিন মোল্লার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ড্রেজার ডুবির ঘটনায় ছয় জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দুজনের লাশ উদ্ধার করার জন্য উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। ’
এর আগে গত সোমবার রাত ৮টার দিকে ড্রেজারটি ডুবে গিয়েছিল। সেখানে ৯ জন শ্রমিক ছিলেন। এর মধ্যে একজন সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও বাকিরা ডুবে যান।
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় চট্টগ্রাম নগর থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের আট সদস্যের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। নিখোঁজ শ্রমিকদের লাশের জন্য সাগর পাড়ে অপেক্ষা করছেন স্বজনরা।
ড্রেজার থেকে বেঁচে ফেরা শ্রমিক মো. সালাম জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে তীব্র বাতাস ও ঢেউয়ে সৈকত-২ নামের ড্রেজারটি মীরসরাই উপকূলের সন্দ্বীপ চ্যানেলে ডুবে যায়। ড্রেজারের মালিক সৈকত এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ওই প্রতিষ্ঠানকে মীরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে নিয়োগ দিয়েছে বেপজা। ড্রেজারটিতে থাকা ৯ শ্রমিকের মধ্যে তিনি কিনারে আসতে পারলেও বাকি আট শ্রমিক আটকা পড়েন।